ভালোবাসার বাড়ি
-সুনির্মল বসু
কিভাবে যে হাওয়ায় ভেসে যাচ্ছে দিন, সমুদ্র নদী বন্দর পেরিয়ে যাচ্ছে সময়ের সারণি,
মনে পড়ছে, পদ্ম পাতার দিন, মাথার উপর নীল আকাশের সামিয়ানা, উপন্যাসের মানুষগুলো,
সময় কতকিছু রেখে গেল,
স্মৃতি বিস্মৃতির ঘোর কাটতেই চায় না,
অনুরাধা আজকাল এই পথে আর আসে না,
কফি খানা থেকে জীবনানন্দ সভাগৃহ
ভেসে যায় কবিতার মুগ্ধ দিন,
হাওয়ায় ভেসে ভেসে কবিতারা আসে,
কখনো আবার অভিমানে মুখ ফিরিয়ে রাখে,
আজকাল বুঝিনা, কবিতায় খুঁজছি ঠিক কাকে,
বন্ধুরা কতজন চলে গিয়েছে নদীর ওপারে,
রেখে গিয়েছে কত অমল অমলিন স্মৃতি,
সন্ধ্যেবেলা, নদীর পাড়, রাতের আকাশে ঝিকিমিকি তারা, স্নিগ্ধ চাঁদের মায়াময় আলো,
আজও তো পিছু ডাকে,
পাহাড়, অরণ্য পাখির গান, রাতের নির্জনতা,
সবুজ অরণ্য কোনো কোনো দিন মধ্যরাতে জনান্তিকে ডাক দিয়ে বলে, যাবি,
জীবনের আয়ু কমে আসে,
শ্মশানের চিতা ডাকে,
ভালোবাসার মানুষ ডাকে,
প্রাচীন বন্ধুরা ডাকে, যাবি,
কত শত স্মৃতি রয়ে গেল জীবনে,
পাওয়া না পাওয়ার বেদনা আজ আর কাঁদায় না,
গ্লানি অপমান, নিন্দা প্রশংসা বুকের দেরাজে সযত্নে তুলে রাখি,
জীবনের কত কাজ এখনো বাকী,
কিভাবে যে হাওয়ায় ভেসে যাচ্ছে দিন,
কিভাবে যে বদলে যাচ্ছে আমাদের পৃথিবী,
প্রতিদিন নতুন করে তাকে ভালবাসছি,
ভালবাসলে পৃথিবীটা স্বর্গ হয়ে যায়,
এটুকু বুঝতে জীবনের কত মূল্যবান দিন পেছনে চলে গেল,
অন্ধকারে তবু হাতড়ে চলেছি,
ভালোবাসার বাড়িটা কোথায়,
ভাই, ভালোবাসার বাড়িটা কোন দিকে,
আমি পথটা ঠিক ঠাওর করতে পারছি না,
প্লিজ আমাকে একটু বলে দিন না,
অনেক সময় ছিল জীবনে,
কোথায় যেন যাবার ছিল, সোনার পথটা ফেলে
ভুল করে আমি অন্য পথে রাস্তা হারিয়েছি,
আমি ভালোবাসার বাড়িতে যেতে চাই,
কাইন্ডলি আমাকে একটু হেল্প করবেন।